বিশ্বায়নের এ যুগে প্রগতিশীল সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নারীর অধিকার, ক্ষমতায়ন ও কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি অত্যাবশ্যক। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাষ্ট্র ও সমাজের মূল স্রোতধারায় নারী উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।
গত ২ বছরে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৬৭৫ জন দরিদ্র মহিলাকে ১২০৬ মেঃ টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।
গত ৩ বছরে ১৫৯৩ জন নারীকে মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করা হয়েছে।
গত ৩ বছরে ৮০০ জন কর্মজীবী নারীকে ল্যাকটেটিং ভাতা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
২০০০ জন নারীকে আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
২০ জন সাহায্য প্রার্থী মহিলাদের আইনি সহায়তা দেয়া হয়েছে।
“জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” কর্মসূচির আওতায় প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে যে সমস্ত নারী সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন তাদের মধ্য থেকে প্রতি উপজেলায় ৫টি ক্যাটাগরীতে ১৫ জন নারীকে “জয়িতা” নির্বাচন ও পুরস্কৃত করার মাধ্যমে নারীদেরকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
উদ্যোমী ও আগ্রহী নারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
আত্মনির্ভশীল করার লক্ষে দরিদ্র মহিলাদের মধ্যে ৫০ টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা হতে বাল্যবিয়ে নিরোধে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণকে নিয়ে সচেতনতামূলক সভা সমাবেশ, সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ৯০% বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।
বছরে ৩০০ জন কিশোর-কিশোরীদের ক্লাবের মাধ্যমে বিভিন্ন সৃজনশীল, গঠনমূলক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে জীবন দক্ষতা বৃদ্ধি। এছাড়া ক্যারাটে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাসহ নারী নির্যাতন রোধে কিশোর-কিশোরীদের সক্ষম করে তোলা হয়। ১০-১৯ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মনো-সামাজিক আচরণ, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সম্পর্ক, সমমনোভাবাপন্ন, SRHR প্রতিহতকরণে দক্ষতা উন্নীতকরণ এবং GBV প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিতকরণ করা হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস